প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য
প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য
দেশ ও জাতি গঠনে শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। প্রজন্মের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নে এর কোন বিকল্প নেই। ডিজিটাল বিশ্বায়নের শিক্ষার ব্যবস্থার অনে পরিবর্তন এসেছে। আমাদের দেশে চালু হয়েছে সুজনশীল পদ্ধতির শিক্ষা ব্যবস্থা। এ পদ্ধতি সম্পর্কে এখনো অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকের পরিপূর্ণ ধারণা তৈরী হয়নি। এএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের গ্রেডিং নিয়ে উদাসীন অভিভাবক মহল। সুষ্ঠ ব্যবস্থায় কলেজ লেবেল তথা একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন করেছে শিক্ষঅ মন্ত্রণালয়। প্রতিটি সরকারী-বেসরকারী কলেজে ভর্তি নীতিমালায় কলেজ ভিত্তিক আসন সংখ্যা এবং গ্রেডিং লেবেল নির্ধারণ করে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। এক্ষেত্রে গ্রেডিংয়ের পাশাপাশি বিষয় ভিত্তিক সর্বমোট প্রাপ্ত নাম্বারে গুরুত্ব দেয়া হয়। অনলাইন ভিত্তিক ভর্তি কার্যক্রমে কারো কোন তদবির বা ভূমিকা রাখার সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে চাহিদা সম্পন্ন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে হলে অবম্যই গ্রেডিং লেবেল উন্নতি করতে হবে। এটি শিক্ষা এবং চাকুরী জীবনে অত্যধিক গুরুত্বপূর্ণ। শুধু এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হলেই হবেনা। জীবনে প্রতিষ্ঠা পেতে হলে গ্রেডিং বিষয়ে শুরু থেকেই সচেতন থাকা আবশ্যক। অন্যথায় কাংখিত স্বপ্ন অংকুরেই বিনষ্ট হবে। দুঃখজনক হলেও এসব ক্ষেত্রে অভিভাবক মহল খুবই উদাসীন। কোচিং বাণিজ্য এবং গাইড ভিত্তিক শিক্ষা শিক্ষা নিষিদ্ধ হলেও করা হলেও বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হচ্ছেনা। বৈশ্বিক মহামারি করোনায় বিপর্যস্থ শিক্ষা ব্যবস্থা। বিশেষ করে শিক্ষার শিখড় প্রাথমিক শিক্ষায় ভয়াবহ অবস্থা। আমার নিজ প্রতিষ্ঠান সোনার বাংলা মডেল হাইস্কুলের গতিশীল কার্যক্রম অনেক ব্যহত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের করুণ পরিণতিকে সাটিচাপা দিয়ে প্রতিশ্রুতি পূরণে আবারো ক্ষুদ্র প্রয়াস এলাকায় শিক্ষার উন্নয়ন। সেই আলোকে আমাদের প্রাতিষ্ঠিানিক শ্লোগান ’’শিক্ষাই শক্তি” আর জ্ঞানই সম্পদ”। সহজ কথায় প্রতিটি পরিবারে কমপক্ষে একটি সন্তানকে দেশ প্রেমিক সু-নাগিরিক হিসেবে সঠিক শিক্ষায় পরিণত করা গেলে সেটা েএক সময় স্থায়ি সম্পদে পরিণত হয়। ঐতিহ্য সুরক্ষায় হয় শ্রেষ্ঠ সম্পদ। এই নীতিকে সামনে রেখে ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিতি হয় সোনার বাংলা মডেল হাইস্কুল। সর্বশেষ শিক্ষা নীতির আলোকে দুই শিফটে পরিচালিত হচ্ছে অত্র প্রতিষ্ঠান। চমক জাগানো বিজ্ঞাপন আর মিথ্যা আশ্বাস নয়,প্রতিশ্রুতি পূরণই আমাদের অঙ্গীকার। মুসলিম শিক্ষার্থীদের নামাজের কক্ষ ও সার্বজনীন শিক্ষার্থীদের জন্যে রয়েছে গণপাঠাগার ব্যবস্থা। আপন সন্তানের বভিষ্যত সুরক্ষায় খোঁজখবর নিয়ে দেখে শুনে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা আবশ্যক। শিক্ষার মানদন্ডে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে শিক্ষার্থীদের সরকারী স্কলারশীপ,গ্রেডিং পদ্ধতির পরিসংখ্যানে এসএসসি পরীক্ষায় শতভাগ ধারাবাহিক সফলতাই আমাদের সম্পদ। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন প্রতিকূলতায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস,জনপ্রতিনিধি,উপজেলা প্রশাসন,সরকারী কর্মকর্তা,গুণীজন,সর্বোপরী এলাকার সুধীজন আর সম্মানিত অভিভাবক মহলের সহযোগিতায় আমি কৃতজ্ঞ। ২০২৩ সাল থেকে সুরক্ষিত সীমানা প্রাচীর বেষ্ঠিত ডিজিটাল ক্যাম্পাস আর নিরিবিলি পরিবেশে পাঠদান শুরু হচ্ছে। শিক্ষা উপকরণ আর টিফিন ব্যবস্থায় ক্যম্পাসে রয়েছে “জায়েদা বিবি সততা ষ্টোর”। ডিজিটাল এটেন্ডেন্স মেশিনে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়মিত উপস্থিতি,সিসি ক্যামেরায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করণ ও পাঠদান পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানিক তথ্য নিয়মিত আপলোডের নিমিত্তে নিজেস্ব ওয়েব সাইট www.sbmhs.com) রয়েছে। কথা ও কাজে মিল রেখে সরকারী নীতিমালা ও পরিপূর্ণ ডিজিটাল ক্যাম্পাস চালু হয়েছে। প্রজন্মের স্বপ্ন পূরণে অত্র প্রতিষ্ঠান প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এরই ভিত্তিতে আমাদের সর্বশেষ শ্লোগান “এসো মিলি স্বপ্নের মোহনায়”। শিক্ষার প্রাথমিক স্থর থেকেই অভিভাকদের সচেতন হওয়া আবশ্যক। এক্ষেত্রে মফস্বল এলাকায় শতকরা ৯৫% অভিভাবক উদাসীন। বর্তমান গ্রেডিং পদ্ধতির শিক্ষা ব্যবস্থায় এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৪ এর নীচে গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ হলে ভালো কলেজে আবেদন এমনকি ভবিষ্যতে চাকুরীর ক্ষেত্রে কোন সম্ভাবনা থাকেনা। জিপিএ-৪ এর নীচে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের প্রতি আমার সাজেশন কলেজ লেবেলে না গিয়ে জীবনের বিকল্প অনুসন্ধান আবশ্যক। প্রজন্ম নিয়ে স্বপ্নের বাস্তবায়ন করতে হলে শিক্ষা জীবনের সূচনাতেই গুণগতমান ও প্রাতিষ্ঠানিক পরিবেশ যাচাই করে সন্তানকে উপযুক্ত প্রতিষ্ঠানে ভর্তি এবং নিয়মিত তদারকি প্রয়োজন। তাহলেই সন্তানের ভবিষ্যত সমৃদ্ধির পাশাপাশি কাংখিত স্বপ্ন পূরণ হতে পারে। ## এম এ বাছিত প্রতিষ্ঠাতা ও পৃষ্ঠপোষক সোনার বাংলা মডেল হাইস্কুল